কুরআন, কুরআ-ন মাজী-দ বা কোরআন (আরবি: القرآن আল্-কুর্'আন্.
পবিত্র কোরান হল মানবজাতির পুর্ণাঙ্গ জীবনধারার নিয়ম নীতি যেখানে মানবজাতীর জন্য রয়েছে সংবিধান ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।
মানুষের জন্য নির্দেশ ম্যানুয়াল।The Holy Qur'an is an instruction manual for people.הקוראן הקדוש הוא מדריך הוראות לאנשים
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহ’র বাণী এটি আরবি শাস্ত্রীয় সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট রচনা
এই গ্রন্থটি ফেরেশতা জিবরাইল (আ:) এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ(সা:) এর কাছে মৌখিকভাবে ভাষণ আকারে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়,[৬][৭] কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর বয়স ৪০ বছর[৮] এবং অবতরণ শেষ হয় হযরত মুহাম্মাদ( সা:) তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে।[১][৯][১০] দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করে কুরআন হযরত মুহাম্মাদ (সা:)এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিকত্ব যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ[১১] এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কুরআনের আয়াতসমূহে কুরআন শব্দটি ৭০ বার এসেছে।[১২]
ইসলামি ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা:) নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীদের জন্য কুরআনকে একটি বিধান। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে।
আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬
রাসুল (সা.) বলেন, “سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبرو لا حول ولا قوة الا بالله” সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ— এই বাক্যগুলো হলো- ‘অবশিষ্ট নেক আমল’। (আহমাদ, হাদিস : ৫১৩; মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১/২৯৭)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন— ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় কামনা করছি কবরের শাস্তি থেকে, জাহান্নামের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৭৭)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন— দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬ سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম। অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ।
প্রিয়
যাদের চোখে সমস্যা বা অসুস্থতা রয়েছে তারা শুধু এভাবে বলতে পারে যে— اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ بَصَرِىْ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।
মহানবী (সা.) এর উপর ৫০ বার দরুদ পাঠ করা যায়। শুধু ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়লেও চলে। প্রতিদানে আল্লাহ ৫০০ বার রহমত পাঠাবেন। আর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ ১০ বার প্রতিদান দেন।.
প্রিয়নবী (সা.) বলেন, ‘সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্বার পাঠ করা, যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়। ’ (মুসলিম, হাদিস দান দে: ২৬৯৫)
অজুর পর কলেমা শাহাদত পাঠ উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ এতে জান্নাতের আটটি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৪১, হাদিস একাডেমি, পবিত্রতা অধ্যায়)
সুরা ইখলাস তিনবার পড়লে পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)
প্রতি রাতে সুরা মুলক (৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করুন। এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।
ঘুম থেকে উঠে মুমিনের করণীয় হলো— এক. ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩) দুই. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়া— الحمدلله الذي أحيانا بعدما أماتنا و إليه النّشور উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত বানানোর পর জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪) তিন. আল্লাহর কাছে দোয়া করা। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে— لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد لله، وسبحان الله، ولا إله إلا الله الله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله. উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অথবা বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ اللهم اغفرلي অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ অথবা অন্য যেকোনো দোয়া করবে। তার এই দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি কেউ অজু করে এবং নামাজ আদায় করে, তার নামাজ কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪) চার. আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পড়া। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩) পাঁচ. মিসওয়াক করা। রাসুল (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫) মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবে অথবা অন্য কোনোভাবে দাঁত ও মুখ পরিস্কার করে নেবে। ছয়. অজু করে পবিত্রতা অর্জন করে নেওয়া। আর গোসল ফরজ হলে, গোসল করে পবিত্র হয়ে নেওয়া। সাত. সম্ভব হলে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা। শেষ রাত আল্লাহর কাছে তওবা করার সর্বোত্তম সময়। আল্লাহ তাআলা জান্নাতবাসীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তারা শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৮) আট. জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে। এরপর নিজের কাজে বা বিশ্রামে কিংবা নাস্তা ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করবে। আল্লাহ তাআলা সবার দিন সুন্নত মোতাবেক শুরুর তাওফিক দান করুন।
"Curabitur ac orci ac lorem blandit volutpat. Sed ac sodales nibh, ut porttitor elit. Sed id dui mi. Vestibulum ante ipsum primis in faucibus orci luctus et ultrices posuere cubilia."
Nullam tincidunt, lacus a suscipit luctus, elit turpis tincidunt dui, non tempus sem turpis vitae lorem. https://freeislamiccalligraphy.com/?portfolio=al-fatiha-1-1-7. Curabitur at elit eu risus pharetra pellentesque at at velit.