Happy Life With 

القرآن
The Quran 
আল্-কুর্'আন্
הקוראן

No Life Without  

الله

Introduction

কুরআনকুরআ-ন মাজী-দ  বা কোরআন (আরবিالقرآن‎‎ আল্-কুর্'আন্.

পবিত্র কোরান হল মানবজাতির পুর্ণাঙ্গ  জীবনধারার নিয়ম নীতি যেখানে মানবজাতীর জন্য রয়েছে সংবিধান ও পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা।

মানুষের জন্য নির্দেশ ম্যানুয়ালThe Holy Qur'an is an instruction manual for people.הקוראן הקדוש הוא מדריך הוראות לאנשים

কোরআন মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ একটি সর্বজনীন গ্রন্থ

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ, যা আল্লাহ’র বাণী এটি আরবি শাস্ত্রীয় সাহিত্যের সর্বোৎকৃষ্ট রচনা 

এই গ্রন্থটি ফেরেশতা জিবরাইল (আ:) এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ(সা:) এর কাছে মৌখিকভাবে ভাষণ আকারে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়,[৬][৭] কুরআনের প্রথম আয়াত অবতীর্ণ হয় ৬০৯ খ্রিষ্টাব্দের ২২ ডিসেম্বর যখন হযরত মুহাম্মাদ (সা:) এর বয়স ৪০ বছর[৮] এবং অবতরণ শেষ হয় হযরত মুহাম্মাদ( সা:) তিরোধানের বছর অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে।[১][৯][১০] দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে সম্পূর্ণ কুরআন অবতীর্ণ হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করে কুরআন হযরত মুহাম্মাদ (সা:)এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অলৌকিকত্ব যা তার নবুয়তের প্রমাণস্বরূপ[১১] এবং ঐশ্বরিক বার্তা প্রেরণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায় যা আদম থেকে শুরু হয়ে হযরত মুহাম্মাদ (সা:) মধ্য দিয়ে শেষ হয়। কুরআনের আয়াতসমূহে কুরআন শব্দটি ৭০ বার এসেছে।[১২]

ইসলামি ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে এটি ইসলামের নবি হযরত মুহাম্মাদ (সা:) নিকট অবতীর্ণ হয়। ইসলামের অনুসারীদের জন্য কুরআনকে একটি বিধান। কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা আছে।

Read More

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠের সওয়াব

আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন, لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ (লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ) (আল্লাহ ব্যতীত অনিষ্ট দূর করার এবং কল্যাণ লাভের কোনো শক্তি কারো নেই) (বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬

রাসুল (সা.) বলেন, “سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبرو لا حول ولا قوة الا بالله” সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়ালহু আকবার ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ— এই বাক্যগুলো হলো- ‘অবশিষ্ট নেক আমল’। (আহমাদ, হাদিস : ৫১৩; মাজমাউজ জাওয়াইদ, হাদিস : ১/২৯৭)

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির দোয়া ও আমলটি হলো (আরবি)-

رَّبِّ زِدْنِي عِلْمًا উচ্চারণ : রাব্বি যিদনি ইলমা অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন। (সুরা ত্বাহা, আয়াত : ১১৪) এই দোয়া নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা বিশেষ জ্ঞান দান করবেন। স্মরণশক্তি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে দেবেন। এছাড়াও স্মরণশক্তি বৃদ্ধির কয়েকটি উপকারী আমল রয়েছে। স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল এক. সব ধরনের গুনাহ থেকে পরিপূর্ণ বেঁচে থাকা; কারণ, গুনাহর কারণে মুখস্থশক্তিতে দুর্বলতা আসে। দুই. অধিক হারে আল্লাহর জিকির করা। যেমন- সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ইত্যাদি পড়া। তিন. আল্লাহ তাআলা বলেন, ‌‘যখন ভুলে যান, তখন আল্লাহর জিকির করুন।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত : ২৪) চার. কোন কোন আলেম এমন কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি করে। যেমন- মধু ও কিসমিস খাওয়া। ইমাম যুহরি (রহ.) বলেন, ‘তুমি মধু খাবে; কারণ এটি স্মৃতিশক্তির জন্য ভালো। তিনি আরও বলেন: যে হাদিস মুখস্ত করতে চায় সে যেন কিসমিস খায়।’ (খতিব আল-বাগদাদির আল-জামি : ২/৩৯৪) পাঁচ. মুখস্থশক্তি বৃদ্ধি ও ভুলে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধে আরো যে জিনিসটি সাহায্য করে, সেটি হচ্ছে- মাথায় হিজামা করা বা শ

ব্যথা দূর হওয়ার দোয়া

দোয়াটি হলো (আরবি) : ADVERTISEMENT أعوذُ بعِزَّةِ اللهِ وقُدرتِه من شرِّ ما أَجِدُ وأُحاذِرُ উচ্চারণ : আউজু বি-ইজ্জাতিল্লহি ওয়া কুদরাতিহি মিন শাররি মা আজিদু ওয়া উহাজিরু। অর্থ : আল্লাহর নামে— আমি আল্লাহর অসীম সম্মান ও তার বিশাল ক্ষমতার অসিলায় আমার অনুভূত এই ব্যথার ক্ষতি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন— ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় কামনা করছি কবরের শাস্তি থেকে, জাহান্নামের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফেতনা থেকে এবং দাজ্জালের ফেতনা থেকে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৩৭৭)

যে দুইটি বাক্য আল্লাহর খুব প্রিয়

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন— দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা বলা সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী। আর আল্লাহর কাছেও অধিক পছন্দনীয়। সেটি হলো, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম। বুখারি, হাদিস : ৬৪০৬ سبحان الله وبحمده سبحان الله العظيم উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আজিম। অর্থ : মহান সেই আল্লাহ এবং তারই সকল প্রশংসা। মহান সেই আল্লাহ যিনি সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী ।

প্রিয়

দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার দোয়া

َاللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إلهَ إلَّا أنْت উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা। অর্থ : হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই।

যাদের চোখে সমস্যা বা অসুস্থতা রয়েছে তারা শুধু এভাবে বলতে পারে যে— اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ بَصَرِىْ উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি বাসারি। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার চোখের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই।

সুস্থ ও রোগমুক্ত থাকার দোয়া

আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি আমার পিতাকে বললাম, হে আব্বাজান! আমি আপনাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনি (আরবি :)— اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ بَدَنِى - اَللَّهُمَّ عَافِنِىْ فِىْ سَمْعِىْ - اَللَّهُمَّ عَافِنىِ فِىْ بَصَرِىْ – لَا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণেন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতে শুনেছি। সে জন্য আমিও তার নিয়ম অনুসরণ করতে ভালোবাসি। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৯০)

َاللّهمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِيْ اللَّهمَّ عَافِنِيْ فِي سَمْعِيْ اللَّهمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لَا إلهَ إلَّا أنْت উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি সাম-ই, আল্লাহুম্মা আ-ফিনি ফি বাসারি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা। অর্থ : হে আল্লাহ! আমার দেহ সুস্থ রাখুন। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে। হে আল্লাহ! আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই।

দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন

মহানবী (সা.) এর উপর ৫০ বার দরুদ পাঠ করা যায়। শুধু ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পড়লেও চলে। প্রতিদানে আল্লাহ ৫০০ বার রহমত পাঠাবেন। আর একবার দরুদ পাঠ করলে, আল্লাহ ১০ বার প্রতিদান দেন।.

প্রিয়নবী (সা.) বলেন, ‘সুব্‌হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্‌বার পাঠ করা, যা কিছুর উপর সূর্য উদিত হয়েছে সবকিছু থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়। ’ (মুসলিম, হাদিস দান দে: ২৬৯৫)

অজুর পর কলেমা শাহাদত পাঠ উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা-শারিকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’ এতে জান্নাতের আটটি দরজার যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৪১, হাদিস একাডেমি, পবিত্রতা অধ্যায়)

সুরা ইখলাস তিনবার পড়লে পুরো কোরআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায়। (বুখারি, হাদিস : ৫০১৫)

প্রতি রাতে সুরা মুলক (৬৭ নম্বর সুরা) পাঠ করুন। এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।

বাজারে গেলে এই দোয়া পড়ুন

উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামুত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই-ইন কাদির।’ এই দোয়া পাঠ করলে ১০ লাখ পুণ্য হবে, ১০ লাখ পাপ মোচন হবে, ১০ লাখ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। (তিরমিজি তাহকিককৃত-৩৪২৮, ৩৪২৯ শাইখ আলবানি হাদিসটিকে হাসান সহিহ বলেছেন)

নারীদের জন্য আরও সহজ

নারীরা চারটি কাজ করবেন— ১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ২. রমজানের সিয়াম, ৩. লজ্জাস্থানের হেফাজত, ৪. স্বামীর আনুগত্য। এই চারটি আমলের বিনিময়ে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান-৪১৬৩, মুসনাদে আহমাদ-১৬৬১)

ঘুম থেকে উঠে মুমিনের করণীয় হলো— এক. ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩) দুই. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়া— الحمدلله الذي أحيانا بعدما أماتنا و إليه النّشور উচ্চারণ : ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’ অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত বানানোর পর জীবিত করেছেন। আর তার দিকেই পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪) তিন. আল্লাহর কাছে দোয়া করা। উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে— لا إله إلا الله وحده لا شريك له، له الملك وله الحمد وهو على كل شيء قدير، الحمد لله، وسبحان الله، ولا إله إلا الله الله أكبر، ولا حول ولا قوة إلا بالله. উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদীর, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ।’ অথবা বলবে, ‘আল্লাহুম্মাগ ফিরলি’ اللهم اغفرلي অর্থ : ‘হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ অথবা অন্য যেকোনো দোয়া করবে। তার এই দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি কেউ অজু করে এবং নামাজ আদায় করে, তার নামাজ কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪) চার. আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পড়া। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩) পাঁচ. মিসওয়াক করা। রাসুল (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫) মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবে অথবা অন্য কোনোভাবে দাঁত ও মুখ পরিস্কার করে নেবে। ছয়. অজু করে পবিত্রতা অর্জন করে নেওয়া। আর গোসল ফরজ হলে, গোসল করে পবিত্র হয়ে নেওয়া। সাত. সম্ভব হলে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা। শেষ রাত আল্লাহর কাছে তওবা করার সর্বোত্তম সময়। আল্লাহ তাআলা জান্নাতবাসীদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তারা শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনা করে।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ১৮) আট. জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে। এরপর নিজের কাজে বা বিশ্রামে কিংবা নাস্তা ইত্যাদিতে মনোনিবেশ করবে। আল্লাহ তাআলা সবার দিন সুন্নত মোতাবেক শুরুর তাওফিক দান করুন।

রোগ থেকে মুক্তির দোয়া

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত প্রথম দোয়াটি হলো- আল্লাহর নবী আইয়ুব আলাইহিস সালামের। তার দোয়াটি ছিলো- أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ উচ্চারণ : আন্নী মাসসানিয়াজ্জুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিন। অর্থ: (হে আমার প্রতিপালক!) আমাকে দুঃখ-ক্লেশ (ব্যাধি) স্পর্শ করেছে, আর তুমি তো (দয়ালুদের মধ্যে) শ্রেষ্ঠ দয়ালু।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৩) এই দোয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দিলাম এবং তার পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশস্বরূপ।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৪) দুই. বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া দ্বিতীয় দোয়াটি হলো- আল্লাহর নবী হজরত ইউনুস আলাইহিস সালামের। ওই দোয়াটি হলো- لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন। অর্থ : তুমি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ আমি গোনাহগার। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৭) এই দোয়া বর্ণনার পর আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার (সেই) আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাকে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিলাম। আমি এমনিভাবে বিশ্ববাসীদেরকে মুক্তি দিয়ে থাকি।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৮৮) তিন. সন্তান লাভের দোয়া তৃতীয় দোয়াটি হলো- হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের। বরকতময় এই দোয়ার দুইটি অংশ পবিত্র কোরআনের ভিন্ন দুই জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। ক. رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ উচ্চারণ: রাব্বি লা তাযারনি ফারদান ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিসিন। অর্থ: হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস। ( সুরা আম্বিয়া : ৮৯) এই দোয়া কবুল হওয়া প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসবযোগ্য করেছিলাম।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ৯০) খ. একই বিষয়ে তিনি আরেকটি দোয়া করেছিলেন। সেই দোয়ার পর আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে ফেরেশতারা এসে তাকে দোয়া কবুলের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। দোয়াটি হলো- رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء উচ্চারণ: রাব্বী হাবলি মিল্লাদুনকা যুর্যিইয়াতান ত্বায়্যিবাতান ইন্নাকা সামিউদ্দোয়া। অর্থ: হে আমার পালকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করো, নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ৩৮)

Contact Us

Nullam tincidunt, lacus a suscipit luctus, elit turpis tincidunt dui, non tempus sem turpis vitae lorem. https://freeislamiccalligraphy.com/?portfolio=al-fatiha-1-1-7. Curabitur at elit eu risus pharetra pellentesque at at velit.